স্টাফ রিপোর্টার: এবার সংবাদ প্রচারের কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যশোরের বাঘারপাড়ার সেই কথিত টিভি সাংবাদিক আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। অর্থ ফিরে পেতে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক সংখ্যালঘু ব্যক্তি।
এর আগেও চাঁদাবাজি, প্রতারণা, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক অভিযোগ ওঠে নামধারী ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগে বাঘারপাড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা দুলাল চন্দ্র দে বলেন, চলতি বছরের ১০ মার্চ নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালতে একটি বিচারকার্য চলছিল। এ সময় সেখানে আখতারুজ্জামান হাজির হন। বিচারকার্জ সমাপ্ত বিষয়টি তার চ্যানেলে প্রচারের জন্য আমার কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা নেয়। তবে আজো পর্যন্ত সেই সংবাদটি প্রচার করেননি তিনি। টাকা ফেরৎ চাইলে আখতার দিনের পর দিন আমাকে ঘুরাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে গত ৩ জুলাই আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
দুলাল চন্দ্র দে বলেন, ‘এর আগে অনেক জায়গায় আখতারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কথা শুনেছি। তবে বিশ^াস করিনি। আজ বুঝতে পেরেছি, সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে এভাবেই সহজ-সরল মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন তিনি।’অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন ২ হাজার টাকা না ৫শ টাকা নিয়েছিলাম ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর যশোর থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি দৈনিকে কথিত সাংবাদিক আখতারুজ্জামানের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে। সদর উপজেলার আগ্রাইল গ্রামের লিলি ঘোষকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে তার ছেলে প্রান্ত ঘোষকে সরকারি চাকরি দিবে বলে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ এখনো পর্যন্ত ফেরৎ না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আখতারুজ্জামান। ওই বছরের মার্চে বাঘারপাড়া উপজেলার বেসরকারি একটি ক্লিনিকে চাঁদাবাজির সময় ক্যামেরাপার্সনসহ ধাওয়া শিকারও হন তিনি।
এছাড়া, বন্দবিলা ইউনিয়নে একটি বাল্যবিয়ে, জহুরপুর ইউনিয়নে প্রবাসীর স্ত্রীর অনৈতিক কাজের ঘটনার সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে কথিত এই টিভি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।